করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার ১১ টি সহজ উপায়- 11 Easy Tips Recover from Coronavirus
11 Easy Tips Recover from Coronavirus |
করোনা ভাইরাস বর্তমানে সারা বিশ্বে একটি আতঙ্কের নাম প্রতিদিন অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে এ রোগে আক্রাত হয়ে এবং আক্রাতের হার দিন দিন বেড়েই চলছে। তাই এর পতিকার করতে হলে নিজেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। হাত হ্যান্ড সেনিটাইজার দিয়ে জীবানু মুক্ত না করে মুখে অথবা নাকে হাত না দেওয়া কারন আমরা হাত দিয়ে অনেক কিছু স্পর্শ করি তাই যখনই পাবলিক প্লেসের কোন কিছু হাত দিয়ে ধরবেন তখনই হ্যান্ড সেনিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে নিবেন। মানুষের অতিরিক্ত সচেতনতাই পারে এ রোগের বিস্তার রোধ করতে।
Coronavirus |
করোনা ভাইরাসের জীবানু থেকে রক্ষা পেতে ১১ টি পরামর্শ দেওয়া হলো:
১. গণপরিবহন/পাবলিক
পরিবহন:
গণপরিবহন/পাবলিক পরিবহন এড়িয়ে চলা
অথবা সতর্কতার
বিষয়টি খুবই
গুরুত্বপূর্ণ তাই বাস, ট্রেন, লেগুনা, সিএনসি, যে কোন ধরণের পরিবহনের
দাঁড়িয়ে অথবা বসে হাত দিয়ে ধরার স্থানে কিংবা আসনে অর্থা
বসার স্থানে করোনাভাইরাস এর জীবানু
থাকতে পারে। তাই যে
কোন পরিবহনে
চলাফেরার ক্ষেত্রে
অবশ্যই মাস্ক
ব্যবহার করা
এবং সেখান
থেকে নেমে
হ্যান্ড ওয়ার অথবা হ্যান্ড সেনিটাইজার দিয়ে ভালোভাবে
হাত পরিষ্কার
করার না
করে মুখ অথবা নাকে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
২. পর্যটন:
সাধারণত পর্যটন স্থানগুলোতে সব সময় বেশী লোকের সমাগম থাকে তাই করোনা ভাইরাসের সংক্রমন পরিরোধ করতে এই সময় পর্যটন স্থানগুলো পরিহার করুন। বর্তমানে সংক্রমন রোধ কল্পে সরকার দেশের সকল স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা করেছে সুতরাং এই সময় অতি জরুরী কাজ ছাড়া ঘর থেকে বাহির না হওয়াই হচ্ছে বুদ্ধি মানের কাজ।
৩. কাজের জায়গা/কর্মক্ষেত্রে:
প্রথমে আপনার কাজের জাগয়াটা সুন্দর করে গুছিয়ে রাখবেন এবং
টেবিল চেয়ার কম্পিউটারের কি বোর্ড-মাউস ভালভাবে পরিস্কার করে নিবেন। হাঁচি-কাশি থেকে করোনা ভাইরাসের জীবানু ছড়ায় তাই অফিসে অথবা আপনার কর্মক্ষেত্রে সকলকে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে দিবেন।অফিসে প্রবেশের সময় হ্যান্ড সেনিটাইজার দ্বারা হাত পরিস্কার করে সকলকে অফিস প্রবেশ করতে দিবেন।
৪. জনসমাগমস্থল, সভা-সমাবেশ, মিছিল, মিটিং, বড় ধরনের সামাজিক অথবা পারিবারিক অনুষ্ঠান:
যে সকল স্থানে অতিরিক্ত লোকজনের সমাগম থাকে সেসব স্থান পরিহার করে চলা, যেকোন ধরনের সভা-সমাবেশ-সেমিনারে অংশ গ্রহণ না করা। বড় ধরনের সামাজিক অথবা পারিবারিক অনুষ্ঠান বর্জন করা। সিমেনা হল বন্ধ রাখতে হবে। শুক্রবারের জুমার নামাজের সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বণ করতে হবে। যেহেতু করোনা ভাইরাসের জীবানু হাঁচি এবং কাশির থেকে ছড়ায় তাই ঘর থেকে বাহির হওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক নিয়ে বের হবেন এবং ঘরে ফিরে হ্যান্ড সেনিটাইজার দিয়ে হাত ভালভাবে পরিস্কার না করে চোখে, মুখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
recover from coronavirus |
৫. ব্যাংক ও
আর্থিক প্রতিষ্ঠান:
দেশের বিভিন্ন ব্যাংক অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকরা যখন টাকা উঠাতে অথবা জমা দিতে যায় একটি কলম অনেক মানুষকে ব্যবহার করতে দেখা যায় এবং এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার জন্য মেশিনের বাটন সবাইকে চাপতে হয় এর মাধ্যমে ও সংক্রামক ছড়াতে পারে। তাই ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান অথবা যেকোন পাবলিক প্লেসের কলম ব্যবহার না করে নিজের কলম ব্যবহার করবেন। এবং এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করার পর ভালভাবে হেন্ডস্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিবেন।
৬. লিফট/চলন্ত সিঁড়ি:
আপনাদের যারা বাড়িতে অথবা অফিসে লিফট ব্যবহার করেন একই বাটন সবাই বার বার চাপে সেক্ষেত্রে যদি কারো মধ্যে করোনা ভাইরাসের জীবানু থাকে তা কিন্তু অন্যের মধ্যে সহজে ছড়িয়ে যেতে পারে তাই যদি লিফট ব্যবহার করার সাথে সাথে হেন্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবানু মুক্ত করে নিবেন। চলন্ত সিঁড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সিঁড়ির হাতলে হাত রাখবেন না।
৭. টাকা-পয়সার লেনদেন:
গত আগষ্ট মাসে বাংলাদেশের একদল গবেষক টাকা বা ধাতব মুদ্রায় নানা রকমের ব্যাকটিরিয়ার উপস্থিতি পেয়েছেন। তাই টাকা অথবা ধাতব মুদ্রা গুনার পর সাথে সাথে হ্যান্ড সেনিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিবেন। সম্প্রতি চীনে করোনা ভাইরাসের আক্রমন শুরু হওয়ায় ভাইরাসটির বিস্তার রোধ কল্পে বাজার থেকে সকল নোট সরিয়ে নিয়ে তা জীবানুমুক্ত করে বাজারে ছাড়ে দেশটি।
৮. কারো সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়:
৯. সেখানে সেখানে কোন কিছু খাওয়া:
১০. পড়ার কাপড় এবং শোবার ঘর:
১১. নিজের মধ্যে সচেতনতা তৈরী করা:
কোলাকুলি এবং করমর্দন এর মাধ্যমেও করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে আপনি যে ব্যক্তি সাথে কোলাকুলি করছেন তিনি যদি করোনা ভাইরাসে আক্রাত হয়ে থাকেন তাহলে তা আপনার শরীলে ও সংক্রমিত হতে পারে।
৯. সেখানে সেখানে কোন কিছু খাওয়া:
পাবলিক প্লেসে কোন কিছু খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখলে ভাল হয়। কারন করোনা ভাইরাসের জীবানু মানুষের মুখ দিয়ে প্রবেশ করে সুতরাং আপনি যেখানে খাচ্ছেন ঐ পরিবেশে যদি কোন করোনা ভাইরাসের রোগী থাকে তাহলে সেটা আপনাকে ও সংক্রমিত করতে পারে। তাই অতিরিক্ত সচেতনতার জন্য মানহীন হোটেল, রোস্তোরা অথবা যেকোন টং দোকানে চা-পান খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন।
১০. পড়ার কাপড় এবং শোবার ঘর:
নিজের পরিধানের কাপড় এবং শোবার ঘর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন কারণ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা মানে আপনি জীবানু মুক্ত থাকা। যেক্ষেত্রে আপনার করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আশংকা কম থাকবে।
COVID-19 (Coronavirus) |
১১. নিজের মধ্যে সচেতনতা তৈরী করা:
যেকোন ভাইরাস অথবা রোগ থেকে বাঁচার জন্য আপনার নিজের সচেতনতাই যথেষ্ট। নিজেকে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং গুছিয়ে রাখবেন। যেহেতু এখন করোনা ভাইরাসের আক্রমনের সময় তাই এই সময় কারো সাথে কোলাকুলি অথবা কর্মদন করা থেকে বিরত থাকবেন। যেখানে সেখানে কোন কিছু খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন যেমন একই কাপে অনেক লোক চা পান করা থেকে বিরত থাকবেন এবং একই প্লেটে পরিবারের একাধিক ব্যক্তি খেতে হলে একজন খাওয়ার পর প্লেট উচ্চ তাপমাত্রার গরম পানিতে ধুয়ে নিবেন।
No comments